সিদ্ধিরগঞ্জে কমর আলী মার্কেটের মালিকের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট ::
নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাইনবোর্ড এলাকার সাকিনস্থ কমর আলী মার্কেটের মালিক মো. কমর আলীর কাছ থেকে বৃহৎ অঙ্কের চাঁদা দাবি করেছে একই এলাকার একদল লোক।
কমর আলীর ভাষ্যমতে, তারা হলেন মো. আবু সাইদ শিপন (৪৫), পিতা- মোস্তফা; মো. শাহাদাত (৬০), পিতা- নবিউল্লাহ; হাজী আমির হোসেন (৫৭), পিতা- উজিউল্লাহ; মোহাম্মদ খোকন আহমেদ (৪৫), পিতা- আবু ইউসুফ; সিরাজুল ইসলাম ওরফে কানা সিরাজ (৪৮), পিতা- নুর মোহাম্মদ; জাহাঙ্গীর আলম (৬০), পিতা- পেয়ার আহম্মেদ; বাবুল মোল্লা (৪৫), পিতা- বাদশা মোল্লা এবং আরও ২০০-২৫০ জন লোক মিলে চাঁদা দাবি করেছেন।
কমর আলী বলেন, “কমর আলী মার্কেটের প্রতিষ্ঠাতা ও মালিক আমি। সেই হিসেবে মার্কেটের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে যাবতীয় দেখাশোনা ও ভাড়া আমি সংগ্রহ করি। কিন্তু গত আগস্ট মাসে সরকারের পতনের পর থেকে উপরোক্ত আবু সাইদ শিপন, মো. শাহাদাত হোসেন, হাজী আমির হোসেন, মোহাম্মদ খোকন, সিরাজুল ইসলাম ওরফে কানা সিরাজ রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আমার মালিকানাধীন মার্কেটে প্রবেশ করে চাঁদা দাবি করেছে। বিভিন্ন সময় আমাকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “তারা আমার কাছ থেকে প্রতি মাসে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। আমি চাঁদা প্রদানে রাজি না হলে তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
গত ০৯-০১-২০২৫ তারিখে সকাল ১১টার দিকে উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গসহ আরও ২০০-২৫০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে আমার মার্কেটে হামলা চালিয়েছে। তারা মার্কেটের সকল দোকানদারকে অস্ত্র ঠেকিয়ে বের করে দেয় এবং প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে লুটপাট ও ভাঙচুর করে। অফিসে রাখা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য জমা ১,৮৬,০০০ (এক লক্ষ ছিয়াশি হাজার) টাকা, সিসিটিভি ক্যামেরার প্রধান ডিভাইস, হার্ডডিস্কসহ প্রায় ৫০ হাজার টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।”
কমর আলী আরও বলেন, “তারা আমার মার্কেটের ২৫টি দোকান থেকে নগদ টাকা ও বিভিন্ন মালামাল লুট করেছে, যার আনুমানিক মূল্য ৮০,০০,০০০ (আশি লক্ষ) টাকা।”
সরেজমিনে পরিদর্শন এবং কমর আলীর ভাষ্যমতে উল্লেখিত ব্যক্তিদের মধ্যে মো. শাহাদাত হোসেন (৬০), পিতা- নবিউল্লাহ, নিজেকে পুলিশ হিসেবে পরিচয় দেন। তবে তিনি প্রকৃতপক্ষে পুলিশ নন। এই পরিচয়ের মাধ্যমে তিনি তার ছেলেকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদা দাবি করেন এবং হামলা চালান।
এই ব্যাপারে মো. শাহাদাত হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি সাংবাদিক পরিচয় জানার পর আর কথা বলেননি। একাধিকবার তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এই বিষয়টি কোর্টের বিষয়। কোর্ট এই ব্যাপারে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা তথা স্থিতি বজায় রাখার আদেশ বহাল রেখেছে। যদি কেউ কোর্টের আদেশ অমান্য করে, তাহলে ভুক্তভোগী অভিযোগ করলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।